বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পাশাপাশি হাঁটছে তিথী আর রাজ।রিমি ও তিথীর অন্যসব কাজিন অনেকটা এগিয়ে। তারা গ্রামের সরু আকাবাকা রাস্তা দিয়ে হেটে চলছে। দুপাশে ক্ষেত আর ছোট ছোট ডোবা।একটা ডোবার পাশে এসে দাঁড়িয়ে গেল রাজ।
কি ব্যাপার তুমি আবার দাঁড়ালে কেনো?
আমি আর হাটতে পারছি না। এখানে একটু বিশ্রাম নেই।
তা বললে কি করে হয়।ওরা অনেকটা এগিয়ে গেছে আর এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বাসায় ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে যাবে।
গেলে যাবে তাতে কি হয়েছে নিজের বরের সাথেই তো বেড়িয়েছো এতো চিন্তা কিসের।
এটাই তো চিন্তার বিষয়। তোমার মতো একটা খাটাশকে কেমনে বিশ্বাস করি। বিড়বিড় করে বললো তিথী।
কি?আমাকে কিছু বললে।
কই না তো! আমিতো কিছু বলিনি।
আচ্ছা আমি একটু বসলাম,আসো তুমিও পাশে বসো।
নাহ আপনি বসেন আমি দাঁড়িয়ে ঠিক আছি।(আপনার পাশে বসার চাইতে সাপকে বিশ্বাস করা ভালো, মনে মনে)
আরে বসোনা বলে তিথীকে টানিয়ে বসাতে গিয়ে দিল ডোবায় ফেলেঘটনার আকষ্মিক তিথী কিছুই বুঝতে পারলো না।সে বুঝতে বুঝতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। এদিক তিথীতো ডোবায় পড়ে কাদায় মাখামাখি। আর ওর চেহারা দেখতেও হয়েছে বেশ।
রাজতো হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
আহঃ! সুন্দরী তোমাকে বেশ লাগছে, পুরাই পেত্নীর মতো।
কিহ! আমি পেত্নীর মতো দেখতে!আজতো তোমাকে আমি....
তিথী ডোবা থেকে উঠে রাজের পিছু পিছু দৌড়াতে শুরু করলো।
রাজকে আর পায় কে! রাজ ও দিল ছুট।
এই দাড়াও বলছি।
ইহ, আমি দাড়াই আর শাঁকচুন্নি এসে আমার ঘাড় মটকাক।
কি বললে আমি শাঁকচুন্নি। চান্দু তোমাকে একবার খালি হাতে পাই।
রাতের খাবার শেষে বিছানায় শুয়ে পড়লো রাজ।
কি ব্যাপার তুমি আমার বিছানায় কেনো।
তো তোমার বিছানায় আমি থাকবোনা তো কে থাকবে শুনি।
ছিহঃ!কি সব বলছেন।
কেনো আমি আবার কি বললেন। ঠিকইতো বলছি, তোমার তো পেয়ারের মানুষ আছে।সে আসতো বুঝি।
সবাইকে আপনার মতো ভাববেন না।সবাই দেহের পাগল হয়না।অনেকে মনের গহীনে লুক্কায়িত থাকে কথাটি বলতে বলতে কেঁদে ফেললো তিথী।আর বাদ দিন, আপনি ভালবাসার কি বুঝবেন? কথাটি বলে দৌড়ে ছুটে গেল বারান্দায়।
কিছু সময় পর রাজ বারান্দায় এসে দেখে তিথী একদৃষ্টিতে আকাশ পানে চেয়ে আছে।
জোৎসনার আলোয় তিথীকে কোনো আঁধারের মায়াবিনী মনে হচ্ছে। যেন তার সাথে সারাটি জীবন চন্দ্রবিলাস করেই কাটিয়ে দেওয়া যায়।রাজ গিয়ে তিথীর পিছনে দাড়াল।দমকা বাতাসে তিথীর চুল গুলো রাজের নাক মুখ ছুয়ে গেল।তিথীর চুলে যেনো মাদকতা মেশানো। রাজের অন্য রকম একটা অনুভূতি হতে থাকলো। রাজ নিজের মুখটা তিথীর চুলে আরো ভালো করে ডুবিয়ে দিল।
তিথী চমকে উঠেও কিছু বললো না।কারণ তিথী জানে এই মুহূর্তে কি করবে রাজ।রাজ তিথীর ঘাড়ে ক্রমাগত ভালবাসার স্পর্শ ছুয়ে দিচ্ছে। তিথীকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে কপালে ভালবাসার পরশ একে দিল।
কি ব্যাপার তিথী হঠাৎ এতো চুপ কেনো(মনে মন)
তিথী আর ইউ ওকে।তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে।
নাহ আমি ঠিক আছি।( চান্দু আমাকে ডোবায় চুবানো,আজ তোমাকে এমন জব্দ করবো জীবনে আমার সাথে লাগার আগে কয়েক বার ভাববে)
চলো গিয়ে শুয়ে পরি।
মাঝ রাতে বুকের উপর ভারী কিছু একটা অনুভব করল রাজ।চোখ খুলে দেখল তিথী রাজের বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
পাগলি একটা, রাজ ঘুমন্ত তিথীর কপালে ভালবাসার পরশ একে দিল। তিথী নড়ে উঠে আরো শক্ত করে রাজকে জরিয়ে ধরল।এমন একটা অবস্থা যে রাজ নড়তেও পারছেনা।রাজের মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি এলো।রাজ তার খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি দিয়ে তিথীর গালে স্লাইড করতে লাগলো।দাড়ির খোচা লেগে তিথীর ঘুম ভেঙে গেল।
আউচ, এতো রাতে গালে কি লাগলো?
তিথী চোখ খুলে দেখে সে রাজকে জরিয়ে ধরে আছে। রাজের চোখ দুটো বন্ধ। ভাগ্যিস রাজ ঘুমিয়ে আছে, নইলে আমি ওকে জরিয়ে ধরেছি জানতে পারলে লজ্জায় শেষ করে দিত।তিথী নিজেকে যতই ছাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজ ততই তিথীকে আকড়ে ধড়ছে।রাজ ঘুমিয়ে আছে এই ভেবে তিথীও ওকে ডাকছেনা।তিথী নিজেকে ছাড়ানোর জন্য বন্ধী সাপের মতো ছটপট করছে।
রাজতো মনে মনে নাগিন ডান্স দিচ্ছে। এবার বুঝবে এই রাজ কি জিনিস।
চলবে.....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now